উচাইল গাইবি মসজিদের অজানা তথ্য , আজও রহস্যে ঘেরা ? যেখানে আসলে কলিজা ঠান্ডা হয়ে যায় 🥰

 



      ধর্ম                    
   ইসলাম 
                             শাখা/ঐতিহ্য
       সুন্নী
পবিত্রীকৃত বছর 
   ১৪৯৩
                               অবস্থা সক্রিয়

অবস্থান
শংকরপাশা, রাজিউড়া ইউনিয়ন, হবিগঞ্জ জেলা, বাংলাদেশ

স্থপতি শাহ মজলিস আমিন

             ধরন
মসজিদ স্থাপত্য শৈলীইসলামী স্থাপত্য
প্রতিষ্ঠার তারিখ ১৪৯৩ সম্পূর্ণ হয় ১৫১৩ বিনির্দেশ ধারণক্ষমতা ১০০ দৈর্ঘ্য,
৬.৫ মিটার প্রস্থ,
৬.৫ মিটার
গম্বুজসমূহ ৪ মিনার ১
উপাদানসমূহ ইট।

হবিগঞ্জ একটি ঐতিহাসিক শহর, যা বাংলাদেশে অবস্থিত। এখানে বেশ কিছু প্রাচীন কবরস্থান রয়েছে যা ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। বিশেষত:

১. হবিগঞ্জের শাহী ঈদগাহ ও কবরস্থান: এটি একটি ঐতিহাসিক স্থান যেখানে অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কবর রয়েছে। ঈদগাহ এবং কবরস্থানটি প্রাচীনকালের মুসলিম স্থাপত্যের নিদর্শন হিসেবে পরিচিত।

২. বাবা লোকনাথের মাজার: এটি হবিগঞ্জের একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান, যেখানে হিন্দু ধর্মাবলম্বী লোকজন প্রার্থনার জন্য আসেন।

৩. শংকর মাজার: এটি হবিগঞ্জ জেলার আরেকটি উল্লেখযোগ্য স্থান, যেখানে বহু পূণ্যার্থী আসেন।

এছাড়া, হবিগঞ্জের অন্যান্য এলাকায় ঐতিহাসিক অনেক কবরস্থান এবং মাজার রয়েছে, যা স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে বিশেষভাবে বিবেচিত।


হবিগঞ্জ শাহী মসজিদের পাশের দীঘিটি স্থানীয়দের কাছে "শাহী দীঘি" নামে পরিচিত, এবং এটি অনেক গল্প ও কাহিনী দিয়ে ঘেরা। দীঘিটির সাথে জড়িয়ে থাকা কিছু উল্লেখযোগ্য কাহিনী হলো:

১. শাহী দীঘির নির্মাণ: লোককথা অনুসারে, দীঘিটি মসজিদের তৎকালীন শাসক বা জমিদারের নির্দেশে খনন করা হয়। তখনকার সময়ে স্থানীয়দের জন্য পানীয় জলের সহজলভ্যতা ছিল না, তাই এই দীঘি খননের মূল উদ্দেশ্য ছিল এলাকাবাসীর জন্য পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং নামাজের জন্য মসজিদে অজুর পানি সরবরাহ করা।

২. মহিলা শ্রমিকের গল্প: কথিত আছে যে, দীঘি খননে বেশিরভাগ শ্রমিক ছিলেন মহিলারা। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমে দীঘিটি সম্পূর্ণ হয়েছিল। বলা হয়, কাজ শেষে স্থানীয় শাসক তাঁদের সোনার নোলক উপহার দেন। আজও স্থানীয়দের মধ্যে এই কাহিনী প্রচলিত রয়েছে।

৩. গোপন সুরঙ্গের ধারণা: স্থানীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, শাহী মসজিদ ও দীঘির নীচে গোপন সুরঙ্গ ছিল যা মসজিদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করত। যুদ্ধ বা বিপদকালীন সময়ে এই সুরঙ্গ ব্যবহারের কথা লোককাহিনীতে পাওয়া যায়। যদিও এর কোনো বাস্তব প্রমাণ নেই, তবে এটি এক ধরনের রহস্যময় পরিবেশ তৈরি করেছে।

4. পবিত্রতা ও অলৌকিকতার কাহিনী: অনেকের মতে, শাহী দীঘির পানি অলৌকিক এবং পবিত্র। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, এই পানিতে রোগ-ব্যাধি থেকে আরোগ্য লাভ সম্ভব। বিশেষত পূর্ণিমা রাতে এখানে লোকজন আসেন এবং দীঘির পবিত্রতা সম্পর্কে বিভিন্ন কাহিনী শোনান।


5. মাছ নিয়ে কাহিনী: দীঘির বিশাল আকার এবং এর মধ্যে থাকা মাছগুলোকেও বিশেষভাবে দেখা হয়। প্রচলিত আছে যে, দীঘির মাছগুলোকে হত্যা করা বা ধরা অশুভ হিসেবে গণ্য হয়। কিছু মানুষ বিশ্বাস করেন, দীঘির মাছগুলো রক্ষাকর্তা বা দানবের মতো, যারা দীঘির পবিত্রতা রক্ষা করে।



এই সকল কাহিনী শাহী দীঘিকে রহস্যময় ও আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত করেছে, যা শুধু হবিগঞ্জের ঐতিহ্য নয় বরং এলাকার মানুষদের সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের অংশ।



Thanks for being with us. Give everyone an opportunity to share

Comments

Popular posts from this blog

Business idea in Bangladesh।